Android এর সংস্করণ বিবর্তন (Cupcake থেকে Android 12+)

Mobile App Development - অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপমেন্ট (Android) - Android এর পরিচিতি
300

Android এর প্রতিটি নতুন সংস্করণে নতুন ফিচার ও উন্নত পারফরম্যান্স যোগ করা হয়। প্রথম দিকে Android এর সংস্করণগুলো মিষ্টির নামে পরিচিত ছিল, যা ব্যবহারকারীদের জন্য বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিল। তবে Android 10 থেকে গুগল শুধুমাত্র সংস্করণের সংখ্যা ব্যবহার করা শুরু করে। নিচে Android এর সংস্করণ বিবর্তন তুলে ধরা হলো:


Android এর সংস্করণ বিবর্তন: Cupcake থেকে Android 12+

1. Android 1.5 Cupcake (এপ্রিল ২০০৯)

Cupcake হল প্রথম নামকরণ করা অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ। এতে প্রথমবারের মতো অন-স্ক্রিন কীবোর্ড এবং উইজেট যুক্ত হয়েছিল। এছাড়াও, ভিডিও রেকর্ডিং এবং সরাসরি YouTube-এ আপলোড করার সুবিধা আনা হয়।

2. Android 1.6 Donut (সেপ্টেম্বর ২০০৯)

Donut সংস্করণে সার্চ বক্স এবং Text-to-speech ফিচার যুক্ত হয়। এছাড়াও, এটি উচ্চতর রেজোলিউশনের স্ক্রিন সমর্থন করতে সক্ষম হয় এবং CDMA নেটওয়ার্কে চলার সুবিধা আনা হয়, যা আগে শুধুমাত্র GSM-এর জন্য উপলব্ধ ছিল।

3. Android 2.0/2.1 Eclair (অক্টোবর ২০০৯)

Eclair-এ Google Maps Navigation, যা ব্যবহারকারীদের টার্ন-বাই-টার্ন নেভিগেশন দেয়, এবং HTML5 ব্রাউজার সাপোর্ট নিয়ে আসে। এছাড়াও, লক স্ক্রিনে লাইভ ওয়ালপেপার ফিচার যুক্ত হয়েছিল।

4. Android 2.2 Froyo (মে ২০১০)

Froyo সংস্করণে USB tethering, Wi-Fi hotspot এবং Flash Player সাপোর্ট নিয়ে আসে। এতে অ্যাপ পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য JIT (Just-In-Time) Compiler যুক্ত করা হয়।

5. Android 2.3 Gingerbread (ডিসেম্বর ২০১০)

Gingerbread একটি নতুন UI থিম এবং ব্যাটারি অপ্টিমাইজেশন নিয়ে আসে। এতে NFC (Near Field Communication) সাপোর্ট এবং উন্নত গেমিং ফিচারও ছিল।

6. Android 3.0/3.1/3.2 Honeycomb (ফেব্রুয়ারি ২০১১)

Honeycomb শুধুমাত্র ট্যাবলেটের জন্য বিশেষভাবে তৈরি হয়েছিল। এতে ট্যাবলেটের বড় স্ক্রিনের জন্য নতুন হোলোগ্রাফিক UI, সিস্টেম বার, এবং মাল্টি-টাস্কিং সুবিধা যুক্ত করা হয়।

7. Android 4.0 Ice Cream Sandwich (অক্টোবর ২০১১)

Ice Cream Sandwich ফোন এবং ট্যাবলেটের জন্য অভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে আসে। এতে নতুন Holo UI, ফেস আনলক, এবং নতুন নোটিফিকেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম যুক্ত হয়।

8. Android 4.1/4.2/4.3 Jelly Bean (জুলাই ২০১২ - জুলাই ২০১৩)

Jelly Bean-এ Project Butter ফিচারটি যুক্ত হয়, যা সিস্টেমের লেগ কমিয়ে ব্যবহারকারী অভিজ্ঞতা উন্নত করে। এছাড়াও, Google Now এবং অ্যাপ নোটিফিকেশন নিয়ন্ত্রণ এর মতো ফিচার ছিল।

9. Android 4.4 KitKat (অক্টোবর ২০১৩)

KitKat ভার্সনে Google Now লঞ্চার, প্রিন্টিং সমর্থন এবং নতুন ইমারসিভ মোড যুক্ত করা হয়। এটি নিম্নমানের ডিভাইসের জন্যও কার্যকরী পারফরম্যান্স আনতে সক্ষম হয়।

10. Android 5.0/5.1 Lollipop (নভেম্বর ২০১৪ - মার্চ ২০১৫)

Lollipop-এ Material Design নিয়ে আসে, যা পুরো UI ডিজাইনকে নতুন মাত্রায় পৌঁছে দেয়। এছাড়া ART (Android Runtime) ইন্ট্রোডিউস করা হয়, যা পারফরম্যান্স উন্নত করে এবং ব্যাটারি ব্যবস্থাপনায় উন্নতি আনে।

11. Android 6.0 Marshmallow (অক্টোবর ২০১৫)

Marshmallow-এ Doze Mode, যা ডিভাইসকে অপ্রয়োজনীয়ভাবে ব্যাটারি ব্যবহার থেকে বিরত রাখে। এছাড়াও, App Permissions নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ দেয় এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট সাপোর্ট আনা হয়।

12. Android 7.0/7.1 Nougat (আগস্ট ২০১৬ - অক্টোবর ২০১৬)

Nougat-এ Split-screen multitasking, Quick Settings মেনু এবং VR মোড নিয়ে আসে। এতে Direct reply from notifications এবং Multi-Window সমর্থনও ছিল।

13. Android 8.0/8.1 Oreo (আগস্ট ২০১৭ - ডিসেম্বর ২০১৭)

Oreo-এ Picture-in-picture mode, Notification Dots, এবং Autofill API এর মতো নতুন ফিচার যুক্ত হয়। এছাড়াও, Project Treble সিস্টেমে পরিবর্তন আনে যা ফার্মওয়্যার আপডেটের গতি বাড়ায়।

14. Android 9 Pie (আগস্ট ২০১৮)

Pie-এ Digital Wellbeing এবং Gesture-based navigation সিস্টেম নিয়ে আসে। এটি আরও উন্নত AI ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট এবং Adaptive Brightness ফিচার যোগ করে।

15. Android 10 (সেপ্টেম্বর ২০১৯)

Android 10 প্রথমবারের মতো সংস্করণ নামকরণে সংখ্যা ব্যবহার করা শুরু করে। এতে Dark Mode, Smart Reply, এবং উন্নত Privacy Settings যুক্ত করা হয়। এছাড়াও, Foldable ডিভাইস সাপোর্ট এবং 5G সমর্থন আসে।

16. Android 11 (সেপ্টেম্বর ২০২০)

Android 11-এ Bubbles, Screen Recording, এবং Conversation Notifications যুক্ত করা হয়। এছাড়া, Smart Device Controls এবং One-time permissions এর মতো প্রাইভেসি ফিচারও আনা হয়।

17. Android 12 (অক্টোবর ২০২১)

Android 12 নিয়ে আসে Material You, যা ব্যবহারকারীদের UI কাস্টমাইজ করার আরও সুবিধা দেয়। এতে Privacy Dashboard, উন্নত Quick Settings, এবং ব্যাটারি ম্যানেজমেন্টে আরও উন্নত ফিচার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

18. Android 13 (আগস্ট ২০২২)

Android 13 এ ফোকাস ছিল প্রাইভেসি এবং সিকিউরিটি আরও উন্নত করার দিকে। Material You এর থিমিং আরও উন্নত করা হয়, যা অ্যাপ আইকনগুলিকেও প্রভাবিত করে। এছাড়াও, Bluetooth LE Audio এবং Spatial Audio এর সমর্থন আনা হয়।

19. Android 14 (২০২৩)

Android 14 এ নতুন ফিচার যোগ করা হয়েছে, যেমন বেটার ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট, আরও উন্নত ফোল্ডেবল ফোন সাপোর্ট, এবং প্রাইভেসি ফিচার এর উন্নতি। গুগল আরও ভালো ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে ধারাবাহিকভাবে নতুন আপডেট যুক্ত করছে।


উপসংহার:

Android এর বিবর্তন প্রতিটি সংস্করণে নতুন ফিচার এবং প্রযুক্তিগত উন্নতি নিয়ে আসছে। প্রতিটি আপডেটই প্ল্যাটফর্মের ব্যবহারকারীদের জন্য আরও সহজ, দ্রুত এবং নিরাপদ ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা প্রদান করছে। Android এর ভবিষ্যতে আরও নতুন নতুন উদ্ভাবন দেখা যাবে, যেমন উন্নত AI ইন্টিগ্রেশন, 5G, এবং IoT ডিভাইসের জন্য আরও কার্যকরী সমাধান।

Content added By
Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...